Blog

অন্তর্যান

14/07/2012 23:00
  অন্তর্যাত্রার অন্তর্যান এসে গেছে সেদিনই যেদিন থেকে শুরু করেছি পথচলা অন্তদৃষ্টি কানে কানে শুনিয়েছে অনেককিছু হতে পারে এ শতকের কোন এক শুক্রবার অথবা অন্য দিন এক তুখোড় রৌদ্রদিনের মাথার ওপর একখন্ড মেঘ অনিঃশেষ কান্নার সমূহ প্রস্তুতিতে প্রকৃতি আমিও ব্যতিব্যস্ত নিজেকে নিয়ে শুনেছি,তখন মৃত্যুগ্রহের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পেছনটায় জাগতিকতা প্রান্তদেশে আসতে গিয়ে মাড়িয়ে এসেছি কত বন্ধুর পথ হাওয়ায় হাওয়ায় শুকিয়েছি কত ঘামগন্ধা শার্ট।   আমি কবির,এক স্বস্বীকৃত আপাদমস্তক কবিপুরুষ আমিই কেবল দিতে পারি নিজের পূর্বাভাস--- অথচ আমিই এসেছিলাম থাকতে অনাদিকাল!  
>>

রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ-২

14/07/2012 23:05
  রাতটা ভোর হলে কে জানি বলে-ঘুমিয়ে পড়ো ঘুমাও তুমি তোমার নিজের মত করে আলগোছে জমিয়ে রাখো বিগত রাতের যত ক্লান্তি ঘুমিয়ে পড়ো যেমনটা ছিল গতরাতের শেষ দৃশ্যের প্রারম্ভিক আবেশ পূণঃ পূণঃ অভিনয়ে সিক্ত করো শিশিরস্নাত নরোম ঘাস পূণঃবার স্বপ্নের দ্বার বন্ধ রেখে খুলে দাও- অজানিত ভ্রুণমালার শ্বাশত সফেদ শাস ঘুমাও!ঘুমাও! সেই পূর্বেকার মত যা ছিল বোধের অতীত পূণঃঅভিনয়ে সিক্ত করো সমূহ অজানিত কূহক একচিলতে অবিশ্বাসকে সঙ্গী করে আবারো ঘুমাও জন্মের মত, জন্মের আগেকার মত আবার শেষবারের মতও।   রাতটা শেষ হলে কে জানি বলে এখনো ঘুমোবে তোমার ঘুম ঘুম চোখের পিচুঁটিতে জাগতিক অসূর খুব ঘুমোলে বন্ধ হয়ে যায় সুর-সূরার টাকশাল কন্টকমুক্ত পথেও চোখে পড়ে আগাছার বন সাহারা আর অ্যান্টার্কটিকা একীভূত হয়ে তেড়ে আসে কোথা পালাবে তুমি দেয়ালে ঠেকানো পিঠ।   রাতটা শেষ হলে কে জানি বলে আবারো সামনে রাত শেষ হয়েও শুরু হবে আর একটা ঘুমকাতুরে পাঠ আর একটা রাত ডাকে দিনকে মাড়িয়ে দিয়ে আর কিছু কর্মযোগ হেলায় কাঁদে বৃথা মনোরথে আর একটা রাত মানে আরো কিছু ঘুমের শুরু আর কিছু ঘুম মানে আরো কিছু...
>>

রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ-১

14/07/2012 23:05
  রোজ রোজ ভোর হলে আমি জাগি স্বতঃস্ফূর্ত আমার মস্তিস্কের নিউরনে কে জানি বলে ওঠে এ বেলা বয়ে গেলে কোথা পাবে সেই বেলা তাই আমার এ হন্তদন্তভাব-হেসে ওঠে দেহকোষ আর একচিলতে জীবনটাকে যে ফাইলে বন্দী রেখেছিলাম তার সদর দরোজায় কোন বাঁধা নেই বলে ফের অবগাহন করি দেহজ প্রাগৈতিহাসিক বন্দরে আমার পূর্বপুরুষীধারা সেখানেও জ্বলজ্বলে তাই ঈষৎ লজ্জ্বায় আবারো ফিরি আপন কেন্দ্রবৃত্তে।   রোজ রোজ ভোর হলে আমি জাগি স্বতঃস্ফূর্ত আমার জাগরণকালের নিকট অতীত বোধে অজ্ঞাত কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার অন্যজগত তাতে সন্তর্পণে উঁকি দিলে ঝলসে যায় চোখ-দু'চোখ তাই সব দেখেও কিছু দেখি না-যেন দিকহারা পথিকজন তাই ঘুমঘুম চোখে মাঝে মাঝে নির্ঘূম রাত কেটে গেলে ভোরের সোনালি স্বাদটুকু নেয়া হয়না ফি-দিন।
>>

আঁচল

14/07/2012 18:41
  মাঝে-মাঝে যেখানে যতিচিহ্ন পড়ে সেখানে থমকে হাসে কিছু দাগ বিমূর্ত কথকতা পাখা গজালে গড়িয়ে চলে সুরমার আরো কিছু জল; এই অপ্রকাশিত কথামালা যেখানে বন্ধক রেখেছি ঠিক সেখানটায় কড়া নাড়ে অজানিত তারামালা। প্রিয় চাঁদ,দৃশ্যত তুমি বোবা তবু তোমার লুক্কায়িত গল্পকথায় আমি ফের মজে গেলে নিজকে আবিস্কারের কালে আবারো হারিয়ে যাই তোমার আঁচলের নীচে,প্রবহমান ঝরণাকে সাথে রেখে।
>>

আমি আমাতে

14/07/2012 18:40
  আমার অগোছালো বিছানা রাত পোহাতেই ভোরের সজীবতা শুষে নেয় একান্ত জানালার আরশীতে যে প্রতিবিম্ব ঘোলাটেরূপ  সে আরশী বলে যায় দৃশ্যায়নের ইতিকথা।   ভোরের যে সূর্য রোজই আন্দোলিত করে দিন দিন প্রতিদিন নূতন করে সেখানে আমি একান্তই আমার অন্তজ কুটুরীর মত প্রকৃতির নির্মেহ চাকচিক্য আমাতে এসে হোঁচট খায় নয়তো পূর্ণবার ফিরে ফিরে আসে আমারই দ্বারে।   এই ক'দিন জানালাটা খুলিনি খুব তবু কেমন জানি ভোরের প্রাত্যহিকতা খুঁজে ফেরে ভেন্টিলেটর জানালার আরশি দেখায় সেই আগেকার মত অথবা ঈষৎ উজ্জ্বল করে যা লুকিয়ে রেখেছিল একান্ত, এই ক'দিন আমি আমাতে হারিয়েছিলাম খুব দিন-রাতের ভেদ লুকিয়ে রেখেছিলাম জামার আস্তিনে অথচ সেদিন ঠিকই আমাকে সম্বোধন করে সে তার নিজস্বতায়-                 স্বতঃস্ফূর্ত!
>>

আমি আত্মহত্যা করবো!

14/07/2012 23:06
  কান পেতে শুনেছি আমরা আত্মহত্যা করবো নিবিষ্ট দর্শক থেকে নিমগ্ন শ্রোতা হয়ে তারপর আমাদের এ সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হলে বিশ্বেস হয়নি- আমিও নিতে পারি                             এমন সিদ্ধান্ত!   প্রথম প্রথম আমি আর আমরা খুব কাঁদতাম মাঁকড়শার জালে আটকা পড়ে খুব করে অভিশাপের সাম্পানে জ্বালিয়ে দিতাম তাকে তারপর একসময় হৃষ্টচিত্তে সাফল্য ভেবে বেরিয়ে আসা মুহুর্তে দেখতাম- ও তখনো অক্ষত এভাবে কিছুদিন কেটে গেলে আমাদেরও ভ্রম কাটে নির্লিপ্ত দুনিয়াকে ওয়েস্ট বক্সে ছুঁড়ে ফেলে সিদ্ধান্ত নিই চরম আর পরমের মিশ্রণে।   কান পেতে শুনেছি আমিও আত্মহত্যা করবো আত্মহত্যার খানিক আগে চেয়ে নেবো নিজেকে যদি আবারো মরার সাধ জাগে।
>>

আত্মহত্যা অথবা বিভ্রম

14/07/2012 23:08
  রক্তমাংসহীন কায়া অস্থিত্বের জানান দেয় চুপিসারে- মগজের নিউরনে অনুরণন তুলে অদৃশ্য সত্ত্বার নির্ভেজাল সম্মিলন অনন্ত ভালোবাসার অনির্বাণ শিখা জ্বলে ধিকিধিকি আশু মুক্তির দিনক্ষণের চরম পুলকতা অপেক্ষার প্রহর গোণে, নৈরাকার কায়া স্থুলতা পেলে মাংসপিণ্ডে রূপান্তর অন্তর্গত চিৎকার উল্লাসে কেঁপে ওঠে বুক ভ্রুণ, আমার জন্মমূল। এখানেই সবিশেষ ভয় প্রাণ পায় কায়ার মায়া বাড়িয়ে কী লাভ? তাই গলা চেপে, বুক চেপে নির্বিকার হত্যা করি অন্তর্গত নবতর আমাকে। আমি আমাতে বাঁচতে চাই, একান্তই স্বভাবত ভেতরের আমিত্বকে হত্যা করি আমি কোন এক পূর্বপুরুষের উত্তরাধিকার আজ এ পর্বের সমাপ্তি হোক আমাতেই প্রজন্ম ক্রমবিকাশের বিনাশ হোক এখানে ফলত আমি আমাকে হত্যা করি আমি আমার অনাগত আমিত্বকে হত্যা করি অবলীলায়   বিশ্বেস করো, আমার হাত কাঁপেনি এতটুকুই!
>>

গ্লাসবদলের নেশা!

14/07/2012 18:36
  তারা জানে- দিন দুয়েক পর সে পথে নেমেছে আধখানা পাগল এক আট-ঘাট বেধে  এই বিরতিদিনে পদস্পর্শ লাগেনি কারো  অথচ এ পথও মুখিয়ে ছিল অপরাপর পথের মত  স্পর্শের ব্যাকুলতায় বেধে ছিল বুকে পাথর কোনো আমাদের প্রতিবেশিজনও জানে আমার বাড়ি তোমাদের থেকে অনেকখানি দূর মাঝপথে এক সাঁকো আছে আগাগোড়া বাঁশ মোড়ানো লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় দিন করে পার তবু ডাক দেয় সে নিজের মতো করে, তুমি কী শুনেছিলে কভু তার ডাক একান্ত ঢঙে; নিজস্বতায়। আমি বাড়ি বাড়ি হাটি বাড়ি বাড়ি যাই বাড়িতে বাড়িতে বাড়িওয়ালাজন থাকে বাড়ির স্বত্ত্ব নিজের মতো করে আমি শোণে যাই প্রতুত্তরহীন যেন কোনকালে কেউ কোনজন বলেছিল অসার সব আমার ডাক আসে সুদূর থেকে আমি হয়ে যাই সুদূরপিয়াসি এক নেশা নেশা সব, নেশায় মত্ত পৃথিবী তবু ফি-দিন করতে বসি নেশার গ্লাসবদল।
>>

চাঁদের গল্প

14/07/2012 18:36
  তারপর চাঁদটা সরে যায় অন্ধকারে ছেয়ে আসে পরিপার্শ্ব আলো-আঁধারীর খেলা চলে কেউ জেতে কেউ হারে অথবা আমিই কেবল লিখতে বসি হারজিতের খসড়া।   যেদিন চিনতে শিখি নিজেকে সেদিনই বুঝে যাই আকাশটা মানুষের মনের প্রতিবিম্ভ যার যার অবস্থানে লিখতে বসে সে আকাশের পাণ্ডুলিপি কাল-মহাকালে তাই একই সূরে গায়নি কোন পাখি একই পথে হাঁটেনি কোন দ্রুতলয়ের যুবা।   কাল ছিল অমাবস্যার কাল,আজ পূর্ণিমা আজ পৃথিবীতে রাত নামেনি,নামবে না ভোর অবধি ভোর হলে রাতের পথে যাত্রায় যাবে সব-সাথে আমিও একটা সূর্য এসেছে বাড়িতে,বুড়ো হলে সে ডুববে পশ্চিমে আমাকে রেখে- অনাগত রাতের একটা চাঁদের গল্প শুনিয়ে।
>>

মেয়েটি তোমার কাছে আসতে চাইছিল

14/07/2012 18:35
  ফি-দিন তুমি কেন শুরু করো প্রথম থেকে তার কাছে প্রথম মানে একটা অধ্যায়ের শেষ  আর তুমি বারবার তুমি দেখাতে যাও তার সেই পূরনো পথ সে সব ছেড়ে-ছুড়ে এসে পড়েছে তোমার কাছে যদি তুমি দেখাতে যাও নূতন পথ সে আনমনে অবগাহন করবে; বলে রেখেছে একান্তজনকে। প্রতিদিন মেয়েটি এক পা এগোলে দু’পা পিছায় স্বভাবত ফি-দিন শুরু করে পূর্বতন থেকে কিছু বলতে যেয়ে পারে না পাছে খসে পড়ে পালক,তাই কাল খুব করে কেঁদেছিল মেয়েটি প্রতিদান না পেয়ে তুমি দেখোনি কিছু অথবা নিজেকে রেখেছিলে বোবা করে। শুনেছিলাম ছেলেরা মেয়েপাগল অথচ ঠিক তার বিপরীত যদি তুমি একবার দেখাতে যাও নূতন কোন পথ সে শবযাত্রায় নাম লেখাবে তার পূর্বপুরুষী প্রেম   এক প্রেমের বিসর্জনপর্বে শুরু হবে আর এক তুমুল প্রেমের।
>>

জলপতনের শব্দে কাঁপে জলশরীর

14/07/2012 18:35
  অথই জল দেখে যদি বেঁচে থাকার সাধ জাগে জলশরীর ছুঁয়ে দেখো সে তো তোমার মতো সাধারণ কোন এক- অথচ রোজ রোজ তাড়িয়ে বেড়ায় কালের গতিবিধি। জন্মের পর থেকে ভুলে যাওয়া অতীত নাড়া দেয়নি কখনো হয়তো ভুল করে ভুলে যাওয়া অথবা তেমন করে বলে দিয়েছিল কেউ তাই কখনো ভাবা হয়নি জন্মপূর্বকালের জীবনধারা, বলেনি কেউ,বলতে চায়না কেউ –আমিও! ইতিহাস বলে জন্ম নেয়া শিখে গেলে জন্ম দেবার পর্বেও নাম লেখানো যায় আমিও হয়তো কোন একদিন হাঁটা ধরবো আমার পূর্বপুরুষী শেখানো পথে তোমাদের কেঊ কোন একজন সঙ্গ দেবে অকৃত্রিম ঢঙে।   আর একটা চাঁদ ওঠেছে চাঁদের কপালে এবার বুঝি যেতেই হচ্ছে তোমার জগতের সবগুলো পথই পায়ে হাঁটা পথ তবু কোন কোন পথ এখনো থেকে আছে পদস্পর্শহীন সঙ্গ দেবে কে-পথে নেমে পথে পথে অনেক পথ; অনেক জল জলশরীর ছুঁয়ে দেখো সেও তোমার মতো পার করে এসেছে এক বিবিধ কৃষ্ণগহ্বর।
>>

আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসা তুমি চাইলে মুক্তি/আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম।

14/07/2012 18:34
  দিনমান সওদা শেষে সুর্য ফেরে নিজের বাড়ি একটা আধখানা চাঁদকে দিয়ে যায় সমূহ দায়িত্ব সুর্যের দায় চাপে চাঁদের ঘাড়ে এ ভার বইতে গিয়ে হারিয়ে পড়ে কিঞ্চিত আলো নূয়ে পড়ে দূরে ঠায় দাড়ানো বটের শাঁখে চাঁদ-সুর্য, চাঁদ-সূর্য খেলায় হারজিত অপ্রকাশিতই থাকে কোন দিনও দেখেনা আলোর মুখ।   ভালোবাসি বলেছিলাম কোন একদিন সূর্যকে স্বাক্ষী রেখে একচিলতে আলোর মত ঈষৎ হাস্যরসে ভিজিয়েছিলে হৃদয় তুমুল আলিঙ্গনে আবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলাম সে ভাষা মাঝখানে অবাধ্য বাতাস ভিজিয়েছিল থমকে যাওয়া সে ক্ষণ আমি বাতাসকে আপন করে ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে কোন একদিন পাড়ি দেয়া হবে সূর্যের বাড়ি অথচ দিনশেষে সূর্য তার বাড়ি চলে গেলে বোকাসোকা চাঁদ আবির্ভূত হয় চাঁদ-সূর্যের আবর্তন গ্রহে নিবদ্ধ হয় চোখ-দুচোখ, সূর্যের বলে যায়নি তাদের আজন্ম সখ্যতার কথা ভুলের ফেরে পরে যাই আরাত্রি সূর্য ফের ফেরে কক্ষপথে উথলায় মন ইতিহাসের সুবোধ ছাত্রের মত লিখতে বসে যাই তোমার ইতিহাস। এ এক ইতিহাস যে শুধু আমাতেই আবর্তিত কোন পথ খোঁজে না পেয়ে নিত্য ঘোরে আমাদেরকে মাঝে রেখে আমাদের মাঝেই।   আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসা তুমি...
>>

বাণিজ্যহাট

14/07/2012 18:33
  বাজার-সদাই করে যে বাহারি বিজ্ঞাপন কিনেছিলাম গতরাতের আলতো স্পর্শে সে হারিয়েছে আপনার অবয়ব স্বভাবধর্মে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে দরোজার আড়ালে যেন খানিক দর্শনেই নেমে আসে অলুক্ষণে দিন, দিন-দিন গতরের চামড়ার বয়স বাড়ে সেদিকটায় মাথা খাটায় না মাথার মগজ পড়শীজন হতাশায় ভুগে; হতাশার পিঠে জমে আরো হতাশা  বোকাদর্শনে নামে আলগোছের নির্ঘণ্টক দিন।   অদ্যকার কথা বলছি বলে জোছনার ঘ্রাণ শুকতে গেলে দারস্থ হই বাতাসের সে পরিচিত বাতাস এক রোজকার সওদা শেষে বাড়িফেরাদের সাথে বাড়ি ফেরে তারপর খোঁজে ফেরে নূতন কোন এক- জন্মাবধি চলে ফেরে, চলাটাই ধর্ম জেনে জল-স্থল-অন্তরীক্ষ হয়ে শুধু খোঁজে বাণিজ্যহাট!
>>

লোমরাজ্য

14/07/2012 18:32
  ক্রমশ লোমশ হাতে জন্মায় রাজ্যের লোম এ যে লোমরাজ্য, ভুলে যেতে বসে লোমের ব্যাকরণ একদিন আমাদের থেকে আমার আমিত্বকে বাদ দেয় অযথা তাই একদিন দেখি আমাদের থেকে আমি নাই আমাকে বাদ দিয়ে আমাদের তরী এগিয়ে চলে নিজস্বতায়।   লোমরাজ্যের বাদামী লোম কালো হলে বদলায় আকাশের রঙ দখিনের হাওয়া উত্তরে গেলে কানে কানে বলে বিষণ্ণতার কাল গাঢ় নীল, তাই নীলের সাথে আদিখ্যেতা নয় ভুলে যাওয়া হোক হালখাতার খতিয়ান, হাওয়ার সাথে জমে থাকুক আরো কিছু লেনদেন।   যে হাওয়া শুকিয়েছে কাল আমার ঘামগন্ধা শার্ট আমি তাকে ভালোবাসা দেব আজ খলুই ভরে।
>>

বয়স্কদের কোন নীল আকাশ থাকতে নেই

14/07/2012 23:30
  ঘন কালো রাতে মাঝে মাঝে হাতছানি দেয় বিশাল আকাশ- অর্ন্তচোখ ঈশারায় ডাকে মিহিস্বর কানে আসে তার আশপাশকার জন নির্বাক থাকে বয়স্কজনের মতো।   মাঝে মাঝে আকাশ রঙ বদলায় নিজস্ব ঢঙে যেন পেখমতোলা জলের মতো হাতড়ানো পথ যারা চেনে তাকে তারাই কেবল পড়তে পারে সে পথেও বাস ছিলো এক আজব কূয়োর, কেউ কেউ ভাবে কোন সে কূয়ো অথবা আদৌ কূয়ো কোনো এ যে এক সাক্ষাৎ দলাপাকানো মেঘভেলা ক্রমশ ভেঙ্গে চুড়ে নেমে আসে মাটির দিকে।   ঘন কালো রাত মেঘমালা জমানো এক আজব জুজু উত্তরাধিকার ধারণ করে তার পূর্ববর্তী থেকে সে রূপকথা যুগ থেকে ডেকে চলে বাছাইজনদের, প্রেম-অপ্রেম দ্বন্দে যারা মাতে তারা প্রত্যুত্তর হেলায় বসে পড়ে ঠায় তাদের গায়ের চামড়া ঝুলতে থাকে তারা বয়স্ক হতে থাকে দিনে-দিনে- তাদের কানে-কানে প্রতিধ্বনী হয় সে মেঘধ্বনী- বয়স্কদের কোন নীল আকাশ থাকতে নেই!  
>>

Items: 61 - 75 of 156

<< 3 | 4 | 5 | 6 | 7 >>

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।