Blog
উইল
13/07/2012 07:14
সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছে বিষাদ মেঘ
সুখ সমরে জয়ী হয়েছে সে অদ্য
তাই খাঁজে খাঁজে কিম্ভূত চিহ্ন সবিশেষ,
বোকামোর একটা মাত্রা ছাড়িয়েছে প্রজাপতি
স্বভাব সময়ে বিরুদ্ধ পথের যাত্রী কচুরিপানা সদৃশ।
একটা নিবিড় বৃক্ষ ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলো এতদিন পথের ধারে
তার দিকে দু’কদম এগুতে গেলে-
পিছিয়ে পড়ে কিছুটা সময় চোখের পিঁচুটি ধরে।
কত কাছ দিয়ে সেদিন বইছিলো সুরমার জল
অদ্যকার পায়ে হাঁটা পথ বুড়িগঙ্গা তীরে,
খাঁজে খাঁজে জ্যোৎস্না নামে, ক্ষীণকায় সুড়ঙ্গে বঙ্গোপসাগর।
একটা দানপাত্রে আজ সাক্ষী হোক উপস্থিতজন
বিষাদের সর্বস্ব দিয়ে যেতে চাই আজ উইল করে
একপক্ষে রাখা হোক আমাকে আর আরেকপক্ষে সমূহ বিষাদ
>>
———
ঐশ্বরিক গন্ধ
12/07/2012 23:30
খুব ভোরে সূর্য উঠার আগে একবার নিজস্ব ভুলে অনেক দূর পথ হেঁটে গিয়েছিলাম একাকী। অনেক পথ হেঁটে যাবার পরে মনে হয় এখনো শুরু হয়নি পথচলা। তাই ফি পথে পথচলার শুরু ফি-বার! এভাবে, এভাবেই হয়তো কোন একদিন পথের দেখা পাওয়া হবে বলে জেনেছিলাম কেউ কোন একজনের কাছ থেকে! কে, কখন আর কেনই বা বলেছিল তা আমি মনে করতে পারছিনা মোটেও!
এখানে যেখানে একবার তুমুল পদক্ষেপ ফেলেছিলাম সেখানে আজ দেখি কিম্ভূত পদচিহ্ন। এ আমার নয় বলে খানিক অবিশ্বাস্য চোখে বলেছিলাম কেউ কোন একজনকে। একান্ত সময়ে ভেবে দেখি এ আমার ভুল ছিল; খুব চোখে পড়া ভুলই! তাই ভুলের ফেরে নিজেকে জড়ানো হবেনা বলে সাক্ষী রেখেছিলাম একটা অবিশ্রান্ত পাখিকে। এ পাখি ডানা মেলতে জানে। তাই পুনর্বার ডানা মেলে বাতাসে; ফুড়ুৎ!
কিছু নিরবচ্ছিন্ন সময় কিছু নিরবচ্ছিন্ন পাখিদের সখা হয়েছে। আমি হয়তো তার কাছাকাছি সময়ে তাদের কাছাকাছিই আসি। কাছে আসা মানে পুরো কাছের না হলেও কিছুটা সময় ধার করে নিই পাখিদের থেকে। পাখিসমূহ হয়তো আনমনে হাসে, আমি বুঝতে পারিনা তাদের মনোগতি।
পাখিসমাজে থেকে পাখিদের থেকে খানিক দূরে হলেও পাখিদের গান শুনছি...
>>
———
নগ্নতা বিষয়ক
12/07/2012 23:28
নিজের কাছে মানুষ দৃশ্যত নগ্ন
তাই অপরাপর নগ্নতা খুব বাজে চোখে
মনে মনে উপভোগ শেষে বাতাসে ছুঁড়ে দেয় একগাদা গাল
ইস, কী অসহ্য নগ্নতার উল্লম্ফন!
মানুষের একান্ত মনোমুক্ত আকাশ নেই সেই আদিকাল থেকে
অহর্নিশ পরিবর্তিত রূপে রূপায়ন তার যেন বহতা বাতাস
জীবন দৃশ্যত অভিধান এক, তাই সাগ্রহে খুঁজে চলা
নিজেকে নিয়ে, নিজের নগ্নতা আর অপরাপরের দৃশ্যাবলী নিয়েও।
একদিন নিজেকে নিয়ে গেলে সাগরের তীরে
দরোজা বন্ধের অভিপ্রায় জাগে একান্ত সময়ে
তাই পাপড়িগুলো মাঝে মাঝে হয়ে যায় অগোছালো পথিক
কিছু শ্লথমাথা পা সামান্য গতি পায় আশ্লেষে
অবকাশ যাপনে আবারো সামনে আসে নগ্ন পা; নগ্নরূপ
বাতাসে হামাগুড়ি দেয় নগ্নতার ক্রিয়াকারণ
ম্রিয়মাণ হয় বাকি সব, অন্ধকারের ওপার থেকে ভেসে আসে খানিক আলো।
একটা নগ্ন হাতের চেয়ে বেশি টানে নগ্ন পা
অনবরত ছুটে চলায় পেছনে ডাকে অজানিত গন্ধ
তাই স্বভাব আকর্ষণ গোপন কুটুরিতে বাসা বাঁধে আচানক
চোখে ভাসে নগ্নতা আর নগ্ন সৌন্দর্যকলা-
একদিন নিজের করে নেবো সব, একদিন নিজের হয়ে যাবে সব
একদিনের পৃথিবী তবে হোক নগ্নতার বিমূর্ত চিত্রকলা।
>>
———
গণিকারা
12/07/2012 21:51
কোন এক সন্ধ্যায় আকাশ গাঢ় লাল হলে
এক প্রান্তিক কবি নেমে আসেন পৃথিবীতে
সাথে আশ্চর্য গণিকারা অথচ কেউ তাদের ভাবেনি আগে
স্বয়ং কবিও-
স্মৃতিতে উদীপ্ত গণিকা যৌবনে ঢুলু ঢুলু
প্রেম ছুঁয়ে যায় অধর ধরে রাতের অন্ধকারের মত
এক রাত, দুই রাত করে কয়েক গণ্ডা রাত হয়ে এলে
নুয়ে পড়ে দখিনা বারান্দা, ঝুলে পড়ে কলমীর বন
দুর্ব্বাঘাসে কয়েক ফোঁটা মধুরস চিৎকার করে;
কামমুগ্ধতায় যারা জেগেছিল তারাও জানেনি ইতিবৃত্ত
তাই মুগ্ধতা মিইয়ে আসলে সবাই পথে নামে- বাড়ির পানে।
এটা হতে পারতো শুধুমাত্র সন্ধ্যার গল্প
কিন্তু প্রদীপ্ত গণিকার হাত ধরে তার বয়স বাড়ে
তাই মাঝরাতে শহরবাসী ঘুমালেও শহরখেকোরা ঘুমায়না
গণিকার হাত ধরে শহরের ওপারে গড়ে নেয় আরেক শহর।
>>
———
সুশীলের গণতন্ত্র
12/07/2012 00:00
সন্ধ্যারাতে আকাশ দেখতে যেয়ে থমকে যাই
আকাশের মাঝে বসত গাড়ে কতিপয় সেনা আইন
সেনা আইনে খানিক অনাসক্তি আমাকে আপ্লুত করে
তাই বার বার ভাঙতে যেয়ে পিছিয়ে আসি কতিপয় স্রোতের তোড়ে!
মনে রেখো, একদিন আমিও আইন করব আইন ভাঙার
নিঃসীম কালো পিচঢালা রাজপথ না হোক একান্ত মনের ঘরে
অথবা একটা শুভ্র মাইক্রো ভাড়া করে নিয়ে এসে নিজের বাড়ি,
জানোই তো, দরোজার খিল এঁটে দিলে-
আমিও হতে পারি সেনাশাসকসম শক্তিমান
ভয় কেটে গেলে নিঃসীম আকাশ দাঁড়িয়ে যাবে মাথার ওপর
সে আলগোছে ছায়াশোভিত ঢঙে কানে কানে বলে যাবে- ভাঙো আইন!
আমি আইন ভেঙে আইনের পথে দাঁড়িয়ে গিয়ে জারি করে দেব আরেক আইন
প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে আসবে বিপ্লবীরা আইন ভেঙে; সেনা আইন ভেঙে
সেনারা সব নেমে যাবে রাস্তায় আইনের তুড়ি নিয়ে
আমার আইন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে তাদের তোমাকে সাথে নিয়ে,
যে দরোজা খিল আঁটা গেয়ো রথ সেখানে পৌছায় না আইন
হোক না সে সেনা আইন কোনো অথবা গেয়ো বুনো আইন
সবকিছু মুখ থুবড়ে পড়ে আমাদের একান্ত গণতন্ত্রের কাছে
একজন ফতোয়াজীবি বাড়ি বাড়ি যাবে তল্পিতল্পা সাথে নিয়ে
ভিখিরি বেশে...
>>
———
কবিতা
11/07/2012 22:04
চল বৃষ্টি নামাই!
এই ক'দিনে বেশ খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছি। মনে হচ্ছে কয়েক হাজার বছর ধরে বৃষ্টির মুখ দেখিনা। এমন মনে হয়নি আগে কখনো। কারণ এর আগে এভাবে বৃষ্টিবিহীন এভাবে থাকা হয়নি। চাতকরূপী প্রতীক্ষা; উফ, কী অসহ্য! তাই এই নির্জলা দিনে মাঝে মাঝে নিজের কাছেও চাওয়া হয়- আমাকে এক পশলা মাত্র বৃষ্টি দাও!
কাল সকালে আকাশের গোমরামুখ দেখে ভাল লেগেছিল। মনে হয়েছিল এবার নিশ্চয়ই প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। রীতিমত ব্যস্ত হয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম অফিসের দিকে। পাছে বৃষ্টিতে না আটকাই! কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। আকাশ তার মত করে পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি সেভাবে আসেনি। যে দুয়েক ফোঁটা নেমেছিল তাতে করে ঢাকার রাস্তার পাশের কোন গাছের গাছের ডালে বসা কাকেরও ভেজা হয়ে উঠেনি। মন খারাপ করেছিলাম কিছু সময়ের জন্যে। এত চাওয়ার বৃষ্টি আসেনি কেন এই ভেবে!
আমার বাসার দক্ষিণে পুরোটা খোলা। সে পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই স্বরে বাতাস ঢুকে ঘরের মাঝে। একবার সে খোলা জায়গা দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে আমার একটা ল্যাপ্টপ নষ্ট করে দিয়েছিল। এর পর থেকে মোটামোটি বৃষ্টির...
>>