চাঁদে সাঈদীর মুখ: বিভ্রান্তি আর গুজবের ডালপালা

06/03/2013 02:11

পাড়ার একটি ছেলে হঠাত করে এসে বলে, ভাই সাঈদী নাকি জেলে নাই? আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন! সে বলে ওঠে- উনি নাকি জেল থেকে চলে গেছেন! কোথায় গেছেন? উনাকে চাঁদে দেখা গেছে! আমি অবাক হইনি আবার গুরুত্বও দিইনি সে কথায়! সামান্য দূর আগাতেই পাড়ার বিড়ি-সিগারেটের দোকানেও অন্য অনেক কথার মাঝে হঠাত এমন কথা ভেসে আসলো- সাঈদীকে নাকি চাঁদে দেখা গেছে! আমি কিছু বলিনি- পাছে গুরুত্বহীন কথায় অংশ নিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে বসি!

তবু কান খাড়া করলাম পরবর্তী কথা শোনার জন্যে। খানিকটা সময় নিয়ে ইচ্ছা করেই দাড়াতে হল যদি নতুন কিছু আবিষ্কার হয়! গালগল্পরত একজন একজনের কাছে জানতে চাইলো তিনি নিজে কি দেখেছেন? উত্তর এলো- না! তাহলে? শোনা কথা। এভাবে আরো কিছু মুখ থেকে আর কিছু গল্প পাখা মেলে আকাশে! কেউই বলতে পারে না কে দেখেছে। অথচ একই গল্প সবার মুখে!

অফিসে গেলাম। সেখানেও একই গল্প। সবাই মজা করে গল্প করছে সাঈদীর চন্দ্র কাহিনী সম্পর্কে। যারা গল্প করছিল তাদের কেউই নিজেরা দেখেনি চাঁদে সাঈদীর ছবি তবে মজা লুটতে বাকি রাখছে না কেউই। গল্পমধ্যে আমার এক কলিগ হঠাত করে বলে উঠলেন- দেখেছে নাকি তার এক বছরে মেয়ে! যে নাকি এখনো কথাও বলতে শেখেনি পুরোপুরি! তীব্র বেগে হেসে ওঠা ছাড়া আর উপায় থাকলো না! সবাই হেসে ওঠলো সেই সাথে আমিও! একজন বলে ওঠলো- হায় সাঈদী, শেষ পর্যন্ত তুমি এমন হাস্যবস্তু হয়ে গেলে!

এ ত গেলো আমার পরিচিত কিছুটা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাঈদীর চন্দ্রদর্শনের ইতিবৃত্ত। এর মধ্যে হয়ত আছে অন্ধ সাইদীভক্ত কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে খোলসের আড়ালে। আমি জানি এই প্রচারে হয়ত সেও জড়িত থাকতে পারে কিন্তু অবস্থাভেদে তাকে মুখে কলুপ এঁটে নিতে হয়েছে। আমি এও জানি- তার এবং তাদের লক্ষ্য আমাদের মত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত না। লক্ষ্য তাদের একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা ধর্মশিক্ষার আগেই শুরু করে দিতে চায় ধর্মপালন অথবা একেবারে জন্মসূত্রে ধর্মের ধারক-বাহক! জন্মের পর থেকে অনেকে দেখে আসছে তাদের পুর্বপুরুষেরা কিভাবে ধর্মকে লালন করছে এবং তারাও অনেকেই সেভাবেই বেড়ে ওঠছে। নিজের ইচ্ছাতে কিছু লেখাপড়া করার চাইতে মসজিদের ঈমাম অথবা অন্য কারো কাছ থেকে যা শুনে আসছে তাকেই মনে করে আসল ধর্ম। এদের অনেকেই বুঝতে চায় না অগাধ বিশ্বাস নিয়ে যে ঈমামের কাছে সে শুনছে এবং শোণে পালনের কাজে নিবৃত্ত হচ্ছে তিনিই বা কতখানি জানেন এবং তারা জানার পরিধি কতটা বিস্তৃত! অথবা যিনি বলছেন তিনি কি দায়িত্ব নিয়েই বলছেন কিছু!

প্রসঙ্গত বলে নিই আমিও জন্মসূত্রে মুসলমান। আমি গ্রামের ছেলে, বড় হয়েছি গ্রামেই। সেখানকার মসজিদের ঈমামকে দেখেছি প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাযের আগে তিনি ওয়াজ/বয়ান করেন। তাকে আমি তেমনভাবে নিয়মিত লেখাপড়া করতে দেখিনি। তিনি অন্য কোথাও কোন ওয়াজে যা যা বলা হয় পরের শুক্রবার ভাঙা রেকর্ডের মত নিজেও বলতে থাকেন। এভাবে পৌণপুনিক! তার মুখ থেকে শুধুমাত্র মৃত্যু পরবর্তী সময়ে কি কি শাস্তি দেয়া হবে তাই বের হয় কদাচ বলে থাকেন পুণ্যের জন্যে পুরস্কৃত হবার কথা। তার কাছে ধর্ম মানেই হল শাস্তি, শাস্তি এবং কঠিন শাস্তি! ধর্ম পালনের মাধ্যমে যে পুরস্কারের ব্যবস্থা তা বলেন খুব কম। ফলে অনেকেরই কাছে ধর্ম হয়ে গেছে কঠিন কোন এক বিষয়! যা ঠিক না- যারা ধর্ম পালন করেন এবং এ নিয়ে খানিকটা লেখাপড়া করেন তারা সেটা অনুধাবণ করেন।

নিজস্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনার কারণ কত অন্ধভাবে গ্রামের মানুষদের সামনে ধর্মীয় বিষয় উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত তা বলার জন্যে। যারা এসব কাজে নিয়োজিত তারা ইচ্ছেকৃতভাবে এসব করছে কি-না আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না। হতে পারে তাদের অজ্ঞতা অথবা ইচ্ছাকৃত! কারণ কিছু লোককে অন্ধভাবে বেড়ে ওঠতে, পথ দেখালে কিছু লোক যে লাভবান হবে তা সময়ে সময়ে পরিষ্কার হয়ে ওঠেছে। এখানে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের যেমন দায় আছে তেমনি আছে দেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের। কারণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন রয়েছে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ মসজিদ। এই মসজিদগুলো থেকে প্রতিনিয়ত ধর্মীয় বক্তৃতা/বয়ান দেয়া হয় কমপক্ষে সপ্তাহে এক বার বিশেষ করে শুক্রবার জুম্মাহ নামাযের সময়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাইলে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সঠিক ইসলাম ধর্ম চর্চার পথ দেখিয়ে দিতে পারে! কিন্তু কার্যকরভাবে তা করছে কই?

সাঈদির চন্দ্রগমনের কাহিনী কতটা ডালপালা গজিয়েছে তা অবাক করার মত ব্যাপারই। নিমিষেই এ গুজব ছড়িয়ে পড়েছে শহর-গ্রামে। জামাত-শিবির কূটকৌশলে তা ছড়িয়েছে সব জায়গায়। জানা গেছে, এই গুজব ছড়াতে জামাত-শিবিরের সবাই একযোগে কাজ করেছিল। তাদের ধারণা, সাঈদী যেহেতু ওয়াজ মাহফিল করে এবং সারা দেশে তার ওয়াজের এক ধরণের ভক্তকুল সৃষ্টি হয়েছে এবং জামাত-শিবির নিজেরাই সাঈদীকে এমন এক পর্যায়ে প্রচার করে নিয়ে গেছে যে ইসলামের একমাত্র হর্তাকর্তা এই সাঈদীই! শুধুমাত্র বাকি ছিল তাকে আল্লাহর সাথে তুলনা করা। এর বাইরে তারা সব কিছুই করেছে এতদিন। তাই তার “মুজেজা” দেখাতে চেয়েছিল! যা আগেকার সময়ে ইসলামে ছিল বলে প্রকাশ কিন্তু নবী-রাসুলের মৃত্যুর পর যা চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাঈদীকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবার পেছনে একমাত্র কারণ এই সাঈদীই তাদের শেষ ভরসা। তাই তারা ধর্মের নাম নিয়ে অধর্মের একটা অনুশীলন করেছে। জামাত-শিবিরের ধর্মকে ব্যবহার করার এমন নজির এটাই একমাত্র না। তারা বিভিন্নভাবে ধর্মকে নিজেদের খেয়ালখুশিমত ব্যবহার করে আসছে এতদিন। এজন্যে দেশের অনেক ওলামা-মাশায়েখ ইতোমধ্যেই জামাত-শিবিরকে ধর্মবিরোধী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। বিষয়টি নতুন না হলেও এটা একটা নতুন সংযোজন বলা যায়!

চাঁদে সাঈদীর প্রতিকৃতি দেখা যাবে এই প্রচার অনেক হয়েছে। পত্রিকা মাধ্যমে জানা গেছে দেশের অনেক জায়গায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষজনকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। বগুড়া, চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, রাজশাহীসহ অনেক জায়গায় মসজিদের মাধ্যমে গভীর রাতে মানুষ জড়ো করে তাদেরকে উস্কানি দিয়ে সেখান থেকে সরকারী স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড হয়েছে, হয়েছে লুটপাট। এখানে কিছু অশিক্ষিত এবং ধর্মান্ধ মানুষের আবেগকে উস্কে দেয়া হয়েছে যাদের ধর্ম সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। খেয়াল করলে দেখা যায় এইসব জায়গা এবং বিশেষ অঞ্চল জামাত-শিবিরের নিরাপদ ক্ষেত্র। আরো কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়, যেখানে জামাত-শিবিরের কর্মী-সমর্থক বেশি সেখানেই চলেছে সন্ত্রাস! এর অর্থ এই- সারা দেশ তাদের তীব্র নখরে বিষাক্ত হয়নি তাদের নিরাপদ জায়গাগুলো ছাড়া। এর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানে হয়েছে চোরাগোপ্তা আক্রমণ এবং জনগণ প্রতিরোধেও নেমে এসেছে।

চাঁদে সাঈদীর মুখ এবং ইত্যকার গুজবে দেশ আগে যে ভেসে যায় নি তা না। এর আগেও অনেক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে কিছু গুজব ছড়িয়েছে দেশের মাঝে। এর মধ্যে অন্য এরকম একটি গুজব ছিল, খুব সম্ভবত আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে। লোকমুখে শোনা গিয়েছিল কোন এক বিডিআর জওয়ান নাকি পুকুরে ফুঁক দিয়েছে এবং সেই পুকুরের সব পানি হয়ে গেছে রোগীদের রোগ নিরাময়ের উপকরণ। এই সংবাদ লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে নিমিষেই। মানুষজন লাইন ধরে এগিয়ে যায় বিডিআর অফিসের পুকুরের দিকে। পরিস্থিতি এমন হয় যে জনসমাগম ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় মানুষজনকে বাঁধা দিতে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে গুজবের ডালপালা ছড়ায় খুব সহজেই এবং মানুষ বুঝে না বুঝে সে সবের দিকে ঝুঁকে পড়ে! আরেকটা জানা কাহিনী, কোন একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মারা যাবার পর মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার কবরে। গুজব ছড়ায় কবরের মাটি খেলে নাকি লোক নিরাময় হয়। এমনিভাবে দেখা যায় মানুষ লাইন ধরে কবরের মাটি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে মানুষের কোন উপকার হয়েছিল কি-না জানা নাই তবে এটাই লোকমুখে শোনা। অবাক কাণ্ড এই সব গুজব/কাহিনী এখনো কিছু মানুষের মুখে মুখে এবং অনেকেই বিশ্বাস করেও বসে আছে! এটাই আসলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এবং সেন্টিমেন্ট। এই ধরণের বিশ্বাসী মানুষজনদের আধিক্য প্রবল সেখানেই যেখানে মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি। এরকম গুজব/কাহিনী অনেক আছে। একটু বয়োবৃদ্ধজনদের জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে একটা গুজব ছিল খুব সম্ভবত মধ্য নব্বইয়ের দশকে যা উইকিতেও আছে- কোন এক দুর্গাপুজায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গণেশ দুধ খাওয়া শুরু করে দিলেন। মানুষজন লাইন ধরে গণেশকে দুধ খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। দুধ খাওয়ানোতো নয় দুধ সামনে দিয়ে চলে আসা । কেউ দেখেনি গণেশ দুধ খাচ্ছেন অথচ কি অবলীলায় মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে দিলো। এটাও একটা সাঈদির চাঁদে মুখ দেখানোর মত কাহিনী! কিছু মানুষ যেমন এখনো বিশ্বাস করে গণেশ সত্যি সত্যি দুধ খাচ্ছিলেন ঠিক তেমনিভাবে কিছু মানুষ এখনো বিশ্বাস করে সত্যি সত্যি সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে। অথচ বাস্তবতা হল এই দুই দলের কেউই নিজের চোখে সেটা দেখেনি! শুধুমাত্র কিছু লোক প্রচার করেই গেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। কিছু লোক বিশ্বাস করে বসে আছে আর কিছু লোক বিশ্বাস-অনিশ্বাসের দোলাচলে দুলছে।

সময়টা এখন যেহেতু আগের সময় থেকে অনেকখানি এগিয়েছে তাই গণেশের দুধ খাওয়ার গল্প, কবরের মাটি খাওয়ার গল্প এবং বিডিআর পুকুরের পানি পড়ার গল্পের মত চাঁদে সাঈদীর মুখ তেমনভাবে খুব বেশি সময় প্রভাব পড়েনি মানুষের মাঝে। খুব কম সময়ের মধ্যেই মানুষজন আবিষ্কার করে ফেলেছে এই কাহিনী। ফটোশপ এবং কিছু সাইটের মাধ্যমে নিমিষেই একই ধরণের ছবি বের হয়ে গেছে অনলাইনে। অনেকেই নিজের প্রতিকৃতি চাদ-সূর্য এবং অন্যান্য জায়গায় উপস্থাপন করে প্রমাণ করে ফেলেছে এটা ছিল একটা ভুয়া কাহিনী। অনেকে আবার কয়েককাটি সরেস হয়ে সাঈদীর ছবি বিভিন্ন জায়গায় সেঁটে দিয়ে তাকে একেবারে নিকৃষ্টস্তরে নিয়ে এসেছেন। এটা নৈতিক দিক থেকে কতখানি সীমার মধ্যে সে বিষয়ে না গিয়ে যা বলা যায় তা হল এই রকম গুজব ছড়িয়ে মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে অপমান করেছে জামাত-শিবিরচক্র। প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকার সাঈদীকে অনেক শক্তিমান এক ব্যক্তিত্ব বানাতে গিয়ে নিজেরাই নিজের চক্রে ডুবে মরেছে তারা। সেই সাথে ইসলামে যা নেই তা প্রচার করে বেদআত এবং গুনাহের কাজ করেছে বলে অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্ব ইতোমধ্যেই তাদের অভিমত দিয়েছেন।

সাঈদীর চাঁদে মুখ দেখানো নিয়ে গুজব ছড়িয়ে সরকারী অফিস স্থাপনাসহ বিভিন্ন জায়গাতে হামলা হয়েছে, হত্যা, অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন অমুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-উপাসনালয় পুড়ানো ও লুটপাট যে হল তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা মনে করি এর দায় এবং দায়িত্ব সাঈদীর নিজের এবং জামাত-শিবিরের। অনেককেই বলতে শুনেছি, একাত্তরে যেমন খুনি এবং লুটেরা ছিল সাঈদী ওরফে দেলু রাজাকার ফাঁসি পরবর্তী সময়ে একই রূপে ধরা দিয়েছে সে জামাত-শিবিরের বেশে। গ্রামাঞ্চলে একটা কথা আছে- “মরেও শান্তি দিলিনা”! জীবিত সাঈদী মানে একাত্তরের সাঈদী আর ফাঁসির রায়ের পরের সাঈদী একই রূপে; মাঝখানে কেবল চেহারা বদল!

 

Back

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।